রবিবার ৫ই মে, ২০২৪ ইং ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তারেকের ৯ বছর, জোবায়দার ৩ বছরের কারাদণ্ড

আইন আদালত ডেস্ক :

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা খান ওরফে জুবাইদা রহমানের ৩ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে বিকেল ৩ টা ২১ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন বিচারক।

এরআগে গত ২৪ জুলাই দুদক মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্য দেন। এরপর গত ২৭ জুলাই মামলাটির যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত। তারেক-জোবায়দা পলাতক থাকায় এরআগে এ মামলায় গত বছরের ১ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

রায়কে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামীপন্থী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি দেখা। দুপুর থেকেই দুই পক্ষের আইনজীবীদের স্লোগানের সাথে চলে ধাক্কা দেয়ার এমন পেশি শক্তির লড়াই। পাশেই পুলিশের বাড়তি মোতায়েন থাকলেও তাদের কোনো হস্তক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না।

এদিকে মামলা থেকে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় জোবায়দা রহমানে মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়েছিল।

পরে তিনি মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়। এছাড়া তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনে পাড়ি জমান। সেই থেকে তিনি পরিবার নিয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন।

তারেক রহমান আরো যেসব মামলায় সাজাপ্রাপ্ত: তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রথম রায় হয় ২০১৩ সালে। মুদ্রা পাচারের ওই মামলায় তিনি খালাস পেয়েছিলেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট।

এরপর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার ৫ বছর ও তারেক রহমানের ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

এছাড়া হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলার প্রতিটিতে কয়েকটি ধারায় তাকে তিনবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সেইসঙ্গে বিস্ফোরক আইনের আরেকটি ধারায় তার ২০ বছর কারাদণ্ডাদেশ হয়। তবে সব সাজা একসঙ্গে কার্যকরের উল্লেখ থাকায় তারেককে যাবজ্জীবন সাজা খাটার বিষয়টি রায়ে উল্লেখ করা হয়।

সর্বশেষ ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগে নড়াইলে দায়ের হওয়া মানহানি মামলায় তারেক রহমানকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

     এই বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

মে ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« এপ্রিল    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১